কি অদ্ভুত লাগে ফাঁকা রাস্তায় বাতাসের ধাক্কা!
একটুকরো চাঁদের আলোয় ফুটে ওঠে ধ্বংসস্তূপ,
ট্রাফিক শূন্য আকাশ, লকডাউনে বন্দী পাখির দল।
আজ প্রকৃতির উন্মাদনায় ফাঁকা দুই হাত,
যত পারি কুড়িয়ে নিই সবুজ সন্ধ্যা।
বাড়ুক দুর্ভিক্ষের আস্তাকুঁড়ে আরশোলার মৃত্যু আর্তনাদ।
ফাঁকা বাড়ির ছাদ ভর্তি আচার, বৃষ্টির স্বাদ মেটায়,
শ্মশানভূমির প্রাঙ্গণে জমা ছাই সুর তুলেছে, কান্ডারী চায়।
সেনার পদতলে হারিয়ে যায় সাবধানতার বাণী,
শেষ ট্রেনের হাতল ফসকে বেড়িয়ে যায় ঠান্ডা হাত।
সাগরের জল ঠেকেছে অসাড় পায়ে,
রাস্তায় বেড়েছে ডুবুরির মুক্তোর খোঁজ,
নরকের শুন্যগর্ভে পায়চারি করে অক্টোপাসের দল।
তুমি কি দেখেছ,
সুবিশাল নিস্তব্ধ রাতের শেষে মর্মস্পর্শী ভোরের আলো?
গোধূলির লক্ষ্মী আগলায় পরিত্যক্ত তুলসী তলা?
আচমকা মুষলধারে বৃষ্টি,
ডুবে যায় ফাঁকা ধোঁয়াময় বারান্দা।
ঝাউবন পেরিয়ে জোনাকির আলোয় মাখা অমৃতের হদিশ…
রঙ্গীন মুখোশে হারিয়েছে জীবনানন্দের রূপসী বাংলা।
ও পবিত্র মহামারী!
তুমি ডুবিয়েছ,উড়িয়েছ তোমার ঝড়ে,
এবার ভিজে কবিতায় হবে কি তোমার প্রস্থান?



0 comments:
Post a Comment