পেছন ঘুরতেই কুসুম দেখলো রায়া তাকে জড়িয়ে ধরে আছে।রায়াকে দেখে মুচকি হাসলো কুসুম।রায়া আদুরে স্বরে বললো,
-ভাবী তুমি এখানে।আমি আরও তোমাকে খুজচ্ছি।রুমে নেই, ওয়াশরুমে নেই। আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
-কি ভেবেছিলে ভাবী পালিয়েছে?
-ধুর তা কেনো ভাববো?কিন্তু ভাবী তোমার চোখ মুখ এতো লাল কেনো?
-আসলে ঘুম হয়নি তো সারারাত।
-কি ব্যাপার?ভাইয়া বুঝি সারারাত ঘুমাতে দেয় নি?
রায়ার কথায় লজ্জা পেয়ে যায় কুসুম।তারপর রায়ার কান টেনে দিয়ে বলে,
-আমার ননদিনী দেখছি খুব পাকা।তা এতো পাকামো শেখায় কে?
-আছে কেউ।
-তা কে সে শুনি।
-উঁহু। ক্রমশ প্রকাশ্য।এখন চলো তো মা ডেকে পাঠিয়েছে তোমাকে।
-কিছু হয়েছে কি?
-আরে না।আজ নাকি বৌভাত না কি।
তোমাকে রান্না করতে হবে।তাই সব বুঝিয়ে দেবে।
-ওহ।চলো।
-তুমি যাও আমাকে আবার প্রাইভেটে যেতে হবে।
-কিসে পড়ো তুমি?
-ইন্টার পরিক্ষা দেবো।
-ওহ।আমার চাপাও এবার ইন্টার দিতো।
-চাপা মানে তোমার সেই বোন যার সাথে ভাইয়ার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো?
-হুম।
দুজনেই চুপ হয়ে গেলো।কেউ আর কোনো কথা বললো না।কুসুম কষ্টে আর রায়া লজ্জায় চুপ হয়ে গেলো।
ছোট একটা শহরের কোনে এক কামরার ফ্ল্যাটে গড়ে উঠেছে চাপা আর অনিক এর লাল নীল ছোট্ট সংসার।অনিকের ভার্সিটি সংলগ্ন এলাকায় একটা ছোট বাসা ভাড়া করে আছে তারা। অনিকের বন্ধুদের সাহায্যে বিয়ে থেকে শুরু করে সংসার পাতা কোনোটাতেই খুব ভুগতে হয় নি তাদের।আর অনিক টিউশনি করে যা আয় করে তাতে কোনোমতো চলে যাবে দুজনের সংসার।যতই কষ্ট হোক চাপাকে হারাতে রাজি নয় সে।জীবনে চলার পথে এই মেয়েটিকে তার চায় ই চায়।
অনিকের পরিবার অবশ্য মেনে নিয়েছে তাদের এই পরিনয়।কিন্তু অনিক জানে একদিন চাপার পরিবারকে মানিয়ে নিতে পারবে তারা।
চাপা বসে রান্নার জন্য তরকারি কাটছিলো।আজ শাড়ি পরেছে সে।ভেজা চুলগুলো এলিয়ে দিয়েছে সারা পীঠে।একেবারে পাকা গিন্নী লাগছে তাকে।শাড়ির ফাকে পেটের কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে।অনিক গিয়ে সোজা পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ধরে।তারপর অনিকের হাতদুটো অবাধে বিচরণ করতে থাকে চাপার পেটে।
কপট রাগ দেখিয়ে চাপা বলে,
-কি শুরু করেছো?শান্তিতে একটু রান্না ও করতে দেবে না নাকি?সরো তো।
-উফ চুপ করোতো। সবসময় বকুনি।বিয়ের আগেই ভালো ছিলে তুমি কেমন দজ্জাল হয়ে গিয়েছো বিয়ের পর।এমন করতে আমি আমার ক্লাসের মেয়ে বান্ধবীদের সাথে মেলামেশা করবো কিন্তু।
-কি বললে!এতো সাহস!বলেছি না ক্লাসের কোনো মেয়ের সাথে মেশা যাবে না।তুমি শুধু আমার।
-তাহলে আদর করতে দাও।
-উঁহু একদম না।
-তাইলে গেলাম কিন্তু!
-ধ্যাৎ!
-কে ধ্যাৎ?
-তুমি।
-দাড়াও দেখাচ্ছি মজা।
এই বলে চাপাকে কোলে তুলে নেয় অনিক।এভাবেই চলছে তাদের দুষ্টুমিষ্টি সংসার।
এদিকে সোয়েদা বেগম একের পর এক রান্নার ফরমায়েশ করে যাচ্ছে কুসুমকে।কুসুমও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেগুলো শুনছে।৮-১০ টা আইটেম রান্না করতে হবে।
-কি পারবে তো রান্নাগুলো করতে?দুপুরে কিন্তু অনেক লোক খেতে আসবে।দেখো বাপু নাক কেটো না।
-পারবো।
-তুমি তো আবার চাষাভুষার মেয়ে।চাষারা ভালো খাবার চোখে দেখে নাকি।তারপর তোমার যেখানে বিয়ে হয়েছিলো তারাও তো চাষা।তাইনা?
কুসুম চুপ করে মাথা নিচু করে আছে।তার হয়তো বলার অনেক কিছুই আছে কিন্তু সে তো নতুন বউ।তাই মুখ বুজে সহ্য করাটাই তার ধর্ম।
সোয়েদা বেগম আবার বললেন,
-কতোবার বুড়োকে বারণ করেছিলাম ছোটলোক ঘর থেকে মেয়ে এনো না।বুড়ো আমার কোনো কথা শুনলো না।ভালো ঘরের মেয়েরা কি বাপ মায়ের সম্মান নষ্ট করে পালায়!মেয়েটা তো পালিয়ে গেলো আর বাপ মা এই আধবুড়ি বিধবা কে গছিয়ে দিলো।আমারই কপাল।
চুপচাপ চোখের পানি ফেলছে কুসুম।না তার জীবনের কষ্ট হয়তো ঘুচার নয়।আল্লাহ হয়তো তার জন্য সুখ রাখেইনি।
কুসুমকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভদ্রমহিলা বেশ বিরক্ত হলেন।কথায় আছে যাকে দেখতে নারি তার চলন বাকা।ভদ্রমহিলার দশা ঠিক তাই।
-কি ব্যাপার?কিছু বলবে?
-না
-তাইলে সঙ এর মতো দাঁড়িয়ে আছো কেনো?রান্না বসাও গিয়ে।মতির মা কে বলো।রান্নাঘরের কোথায় কি আছে দেখিয়ে দেবে।
হাতের উল্টো পীঠে চোখের পানি মুছে রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ায় কুসুম।
রাফসানের ঘুম ভাঙলো বেলা ১০ টায়।ঘুম থেকে উঠেই কুসুমকে খোঁজার চেষ্টা করলো সে।কিন্তু আশেপাশে কুসুমকে দেখতে পেলো না।রান্নাঘরে আসতেই কুসুম এর দেখা মিললো।
কুসুম এর দিকে তাকিয়ে একগাল হেসে রাফসান বললো,
-গুড মর্নিং।
-শুভ সকাল।
-কি করেন আপনি?
-এইতো রান্না করতে বললেন মা।
-কি কি রান্না হবে?
-সাদা ভাত,পোলাও,ডাল,মাছের ঝোল,খাসির মাংস, মুরগীর মাংস আর শেষ পাতে পায়েস।
-এতো রান্না একা করবেন নাকি?কাউকে তো রান্নাঘরে দেখছি ও না।
মতির মা এই মতির মা.....
কাজের মহিলাকে ডাকতে লাগলো রাফসান।মতির মা এসে ভয়ে ভয়ে দাঁড়িয়েছে রাফসানের সামনে।কারণ দেখতে শান্ত হলেও রাফসানের রাগ নেহাৎ কম নয়।
-জ্বে ভাইজান বলেন।
-তোমার ভাবী যে একা এতোগুলা রান্না করছে তোমার কি উচিৎ ছিলো না ওকে সাহায্য করা?
-জ্বে ভাইজান ছিলো।
-তাহলে কেনো করলে না?
-আম্মায় বারণ দিছে।
এদিকে চেঁচামেচি শুনে রাফসানের মা আর খালা বের হয়ে এলো ঘর থেকে।সোয়েদা বেগম তড়িঘড়ি করে ছেলের দিকে এগিয়ে এলেন।
-কি হয়েছে বাবা।এতো চেঁচামেচি কিসের?
-মা তুমি মতির মা কে বারণ করেছো কুসুমকে সাহায্য করতে?
সোয়েদা বেগম চুপ করে আছেন।তিনি খুব ভালোই জানেন মিথ্যে বলে লাভ নেই এখন।মাকে চুপ থাকতে দেখে রাফসান আবার বললো,
-ঠিক আছে। তোমাদের কাউকে কিছু করতে হবে না।আমি কুসুমকে রান্নায় সাহায্য করবো।
ছেলের কথা শুনে ক্ষেপে উঠলেন সোয়েদা বেগম।
-তুই ব্যাটাছেলে রান্নাঘরে কেনো ঢুকবি?আমি তোকে ঢুকতে দেবো না।আর মতির মাকে আমি আসতেই বলতাম ওই মেয়ে নিজে বলেছে সব পারবে।আর এখন ভালোমানুষের নাটক করছে।
-কুসুম কোনো নাটক করেনি মা।আমি সব বুঝি।
-হ্যাঁ হ্যাঁ সব দোষ তো মায়ের।বউ দুইদিন আসতে না আসতেই মা খারাপ!শেষে তুই কিনা বউ এর আঁচল ধরা হলি।
এই বলে কান্নার সুরে হেঁচকি তুলছে সোয়েদা বেগম।আর পাশ থেকে তার বোন শান্তনা দিচ্ছে,
-আপা কাঁদিস না। সবই কপাল।
রাফসান আর এক মুহুর্ত সেখানে দাঁড়ালো না।হনহন করে হাঁটা দিলো বাইরের দিকে।রাফসান চলে যেতেই কুসুমের ওপর রেগে উঠলেন সোয়েদা বেগম।
-অপয়া মেয়ে মানুষ। দিলে তো আমার ছেলেটাকে বাইরে পাঠিয়ে।তুমি দেখছি আগুন লাগাবা আমার সংসারে।
দুপুর বেলা সব আত্মীয় স্বজনকে নিজ হাতে খেতে দিলো কুসুম।কুসুমের হাতের রান্না খেয়ে সবাই প্রশংসা করতে লাগলো।কুসুমের শ্বশুরমশাই রান্না খেয়ে ১ হাজার টাকার দুটো নোট গুঁজে দিলো কুসুমের হাতে।আর প্রাণ ভরে দোয়া করে বললো,
-দোয়া করি মা শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে অনেকদিন ঘর সংসার করো আর মানুষকে হেদায়াতের পথে আনো তোমার ভালো গুন দিয়ে।
কথাটা বলে নিজের স্ত্রী আর শালির দিকে তাকালেন তিনি।সোয়েদা বেগম মুখ ঘুরিয়ে নিলেন।
বিকেলের মধ্যে আত্মীয়স্বজন যার যার বাড়ি চলে গেলেন।
সারাদিন পর রাত্রি ১০টার দিকে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছে রাফসান।তখন সারাদিনের কাজকর্ম শেষে গোসল সেরে চুল আচড়াতে বসেছে কুসুম।পেছন থেকে এমন দৃশ্য দেখে মাতাল মাতাল লাগছে রাফসানের।নিজের অজান্তেই ঘরে ঢুকে কুসুমের পেছনে এসে দাঁড়ালো রাফসান।তারপর জোরে জোরে আওড়াতে লাগলো,
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের 'পর
হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, 'এতোদিন কোথায় ছিলেন?'
পাখির নীড়ের মত চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।
রাফসানের আবৃত্তি শুনে কিছুটা লজ্জা পেতে যায় কুসুম।সলজ্জা হাসি দিয়ে সে জিজ্ঞেস করে,
-আরে আপনি কখন এলেন?
-সবে মাত্র।
-সারাদিন সবাই আপনার কতো খোঁজ করেছে।ফোনটাও তো বন্ধ ছিল।সবাই কতো চিন্তা করছিলো জানেন।
-আপনি করেন নি?
-হুম করেছি বৈ কি।চলেন আপনাকে খেতে দিয়ে দিই।
-চলেন।
রাফসানকে খেতে দিচ্ছে কুসুম।রাফসান ও খুব তৃপ্তি করে খাচ্ছে।রাফসানের খাওয়া দেখে কুসুমের খুব মায়া হচ্ছে।
-সারাদিন নিশ্চয় কিছু খাওয়া হয়নি।তাইনা?
-কই না তো।
-লুকাচ্ছেন কেনো।আপনার চোখমুখ বলে দিচ্ছে খাওয়া হয়নি সারাদিন।
-সে কথা যদি বলেন আপনার চোখমুখ ও একি কথা বলছে।তা বলি কি এই অধমের সাথে খেতে বসলে আপনার জাত যাওয়ার সম্ভবনা আছে?
-কি যে বলেন।দাঁড়ান বসছি।
একটা প্লেটে নিজের জন্য কিছুটা ভাত বেড়ে নিলো কুসুম।খেতে খেতে রাফসান বললো,
-আমি একান্ত দুঃখিত।আপনার কাছে মাফ চাচ্ছি।
-কিসের জন্য?
অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে কুসুম।
-আমার পরিবারের ব্যবহারের জন্য।আপনার হয়তো এই ব্যবহারগুলো পাওনা ছিলো না।
-বাদ দিন।মানুষের কথা আমার গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। আপনাকে আর একটু তরকারী দেই?
-প্রসঙ্গ বদলাচ্ছেন?
-উঁহু। ঝামেলা এড়াচ্ছি।এই যে আপনি দুপুর থেকে না খেয়ে আছেন সেটাও আমার জন্য।আমি আর কোনো ঝামেলার কারণ হতে চাই না।
কুসুমের কথায় চুপ হয়ে গেলো রাফসান।এই মায়াময়ী মেয়েটার জন্য প্রচণ্ড মায়া হচ্ছে তার।আচ্ছা এটাকে কি ভালবাসা বলে!ভালবাসা এতো সহজে হয়!
নিজের মনকে প্রশ্ন করে রাফসান।
খাওয়া দাওয়া শেষে কুসুম বিছানা ঠিক করছে।আচমকা রাফসান এসে তাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে।তারপর কুসুমকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে আলতো করে চুমু একে দেয় তার কপালে।
রাফসানের এমন আচরণে বেশ অপ্রস্তুত হয়ে যায় কুসুম।নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে সে।কুসুমকে ছেড়ে দিয়ে রাফসান বলে,
-ভয় পেও না কুসুম।আমি জানি অতীতকে ভোলা তোমার জন্য অনেক কষ্টের।আমি তোমাকে কখনো জোর করবো না।যেদিন তুমি নিজে আমার কাছে আসবে আমি সেদিনের অপেক্ষা করবো।এইকয়দিন আমরা না হয় বন্ধু থাকি।আমি কি তোমাকে তুমি বলতে পারি?এটুকু অধিকার কি আমাকে দেওয়া যায়?
কুসুম কিছু বললো না।শুধু সম্মতিসূচক হাসি দিলো।এই হাসির অর্থ ভালভাবেই বুঝতে পারলো রাফসান।
এমনসময় দরজায় কারো কড়া নাড়ার শব্দে ফিরে তাকাল দুজন।রাফসানের ধারণা আজও তার খালা এসেছে নতুন কোনো বাহানা নিয়ে।আজ দুচার কথা শুনিয়ে দেবে রাফসান খালাকে।এই ভেবে দরজা খুলে দেখলো তার ধারণা ভুল করে দিয়ে রাফসানের বাবা দাঁড়িয়ে আছে।
-ভেতরে এসো বাবা।
-হুম আসছি।ঘুমিয়ে পড়েছিলি নাকি?
-না বাবা। ঘুমোই নি।
পাশ থেকে উত্তর দেয় কুসুম।
-শোনো বউমা তোমাদের দুজনকে একটা কথা জানাতে এলাম।
-কি কথা বাবা?
-তুমি হয়তো জানো না আমাদের পৈত্রিক বাড়ি কুষ্টিয়ে জেলায়।ব্যবসার জন্য যশোরে আসা আমার।সেখান থেকে যশোরেই বাড়ি করে স্থায়ী হওয়া।আমার মা আর ভাইয়েরা কিন্তু পৈত্রিক বাড়িতেই থাকেন এখনো।মায়ের তো বয়স হয়েছে।বিয়েতে আসতে পারে নি।এখন নাতবৌ দেখতে চায়ছে।আমি কথা দিয়ে দিয়েছি তোমরা দুজন কাল সকালে যাবে সেখানে।গোছগাছ করে নাও।
-কিন্তু বাবা!কোনো কিন্তু না।তোমার কাল যাচ্ছো।
দুজনের সম্মতি দেয় এবার।রাফসানের বাবা বের হয়ে আসেন ছেলের ঘর থেকে।
এদিকে অনেক রাত হয়ে গিয়েছে কিন্তু অনিকের ফেরার নাম নেই।বারবার তাকে কল দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না।চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছে চাপা।এই অচেনা অজানা শহরে সে এতো রাতে কোথায় খুঁজবে নিজের স্বামীকে।বারবার তার মন কু ডাকছে।বাইরে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে।অনিকের কোনো বিপদ হয়নি তো!
ভাবতেই বুকটা ধক করে উঠলো চাপার।
কুসুমদের কুষ্টিয়া পৌছতে সকাল ১১টা বাজলো।চৌরাস মোড়ে গাড়ি টা থামিয়ে কিছু ফলমিষ্টি কিনতে নেমেছিলো রাফসান।কুসুম গাড়িতেই বসে ছিলো।হঠাৎ রাস্তার অপরপাশে চোখ যেতেই চক্ষুচড়কগাছ।রাস্তার অপরপাশে দাঁড়ানো মানুষটি কুসুমের খুব চেনা।কিন্তু সে এখানে আসবে কি করে!!
তাড়াহুড়ো করে গাড়ির দরজা কুসুম এমনভাবে এগিয়ে গেলো ওপারের মানুষটির দিকে যেন ধরতে না পারলেই পালিয়ে যাবে......
(গল্পটির পরের পর্ব অতি শীঘ্রই আসবে,তাই Poesy এর সাথেই থাকবেন।)



ভালো ছিল
ReplyDelete