আগমনী হেমন্ত তোমার শিশির-ঝরা সুপ্রভাত,
ঠিক যেন মেহেদী মাখা নব বধূর রাঙা দুটি হাত।
শিশিরভেজা জবা কুয়াশার ঘামে যেন নবরূপ,
অমৃত হেমন্ত প্রভাত দেখে সাধ মেটে নিও রূপ।
স্নিগ্ধ শ্যাম ঐশ্বর্য রাশি আমার প্রেমের হেমন্ত,
হেমন্তের বিপুল প্রাণ বিচিত্র সবটুকু যদি সে জানত।
এলোমেলো হিমেল হাওয়া আর মিষ্টি পাখির গান,
এ যে অন্যরকম এক রূপ কাহিনী ভরাইছে প্রাণ।
ভোরের কুয়াশায় বিজন বেলায় দেখেছি বসে আকাশ,
মুক্ত আকাশ হতে ঝরে যেন কুয়াশার বাতাস।
তৃপ্তির স্নিগ্ধ শান্ত ঐ রূপ আমার প্রিয় হেমন্ত,
যতদূর চোখ যায় ভোরে কুয়াশা মোড়ানো ওই সীমান্ত।
অশ্রু-সমুজ্জ্বল বিজয়মাল্য কুয়াশা শীতের উপহার,
উষ্ণ রোদের স্নেহ ভরাট যেন মনমোহিনী স্নেহ গভীর।
মহিমা ফুটে ওঠে যেন হেমন্তের শেষ বিকালের খেলায়,
কুহেলির স্রোত রূপ থেকে অপরূপ প্রিয় অবেলায়।
হেমন্তের গভীর রাত যেন পূর্ণিমার পূর্ণ শ্বেত জোছনা,
ঝরা কুয়াশার হেমন্ত নিবিড় ভাবে মনের সান্ত্বনা।
হেমন্তের মেঘলা আকাশে মেঘের আড়ে রৌদ্র,
আবার কখন ঝর্ণাধারার মতো নেমে আসে সমুদ্র।
তুমি কি হেমন্তের ভোরে গেঁথেছ রঙিন ফুলের মালা,
আনন্দে সিক্ত হয়ে ওঠে আঁখি কখন যায় চলে বেলা।
আমার পুষ্পগুচ্ছ ফিরে এল হেমন্ত নব সন্ধ্যাবেলায়,
উষ্ণ চাদরে মোড়ানো দেহ মেতে ওঠে প্রাণের খেলায়।
দীপ মালা প্রদীপের সারি প্রভাতে হেমন্তের নব রোদ,
তাহার বাক্যের শেষ অংশ অমৃত হবে নাতো শোধ।
ফুল কুড়াবো চরণ ফেলে শিশির ভেজা স্নিগ্ধ প্রভাতে,
তন্দ্রাচ্ছন্ন ঘুম জড়িত আঁখিতে স্বপ্ন বুনি হেমন্তের রাতে।
হেমন্তের পূর্ণিমা কত কথা বলে নিশি নিলয় জগতে,
শুধু তোমার জন্য মাল্য হাতে দাঁড়িয়ে রই প্রভাতে।



0 comments:
Post a Comment