কেমন আছো?


পৃথিবী তুমি কেমন আছো নিখিল ভুবন মাঝারে, 

স্তম্ভিত শিউরে উঠি তারাগুলো হারালো হাজারে হাজারে।

সৃষ্টির সার উল্লাসহীন মন কাঁদে সন্ধ্যার দুয়ারে, 

মৃত্যুর ক্রন্দন মন মাঝে আর ফিরে পাবনা স্বজনরে।

গ্রন্থমালা পড়তে গেলে আঁখি ভরে জলে তবু একা,

এই শতাব্দীতে কত মানব হারালাম রইল বুকে লেখা।

সেই মায়াবী ছোট্ট ছেলেটি কাঁদে তার মায়ের জন্য, 

নিষ্পাপ অশ্রু গড়িয়ে পড়ে বক্ষটি হইল যেন শূন্য। 

জনশূন্য পথের পানে চাহিয়া খোঁজে মায়ের মন,

তার আঁখিজলের সাথে কাঁদিয়া ওঠে উপবন।

পৃথিবী তুমি আবার সাজিয়া ওঠো পল্লীর প্রাণে, 

সবুজপাতা আর ফুলের ঘ্রাণে সাজাও তব স্বপনে।

পৃথিবী শান্তি-সুখের প্রান্তরের বিজন বাতাস অন্তরে, 

কখন তুমি শান্ত হবে সেই আশায় বসে ওই অদূরে। 

আকাশে দাও স্নিগ্ধ মধুর মনোরম শারদ চাঁদনী,

নিত্য ঊষায় ফোটাও নিত্য ভোরে সুরভী কুসুম কামিনী।

সুধার স্রোতে ডাকি তোমার অমৃত হে পৃথিবী,

কানন ভরে ফুল দাও, দাও ভালো করে তাহার সবই।

জীবন তরী বাইতে দাও বিজন বাতাসে নিশ্চিন্তে মনে,

বেনুকার সুরে ফুটাতে দাও ফুলগুলো রেণু-বনে। 

শিউলি ফুলের মালা গাঁথিবো মন মন্ত্রে স্নানের শেষে,

প্রিয় নামটা ডাকিতে দাও হে অনেক ভালোবেসে।

0 comments:

Post a Comment